রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মোঃ শাহিন সরদার (৪২) নামে এক দুবাই প্রবাসী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী ও তার পরিবার বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে গোয়ালন্দ সাংবাদিক ফোরামে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
শাহিন সরদার গোয়ালন্দ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ময়ছের মাতুব্বর পাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সরদারের ছেলে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহিন সরদার বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে থেকে সুনামের সাথে পরিবহন ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন।
কিন্তু মুনিয়া বেগম নামে স্হানীয় এক মাদক ব্যাবসায়ী তার কাছে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা পায় এ মর্মে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। সেই সাথে আমাকে ও আমার পরিবার বর্গকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
মুনিয়া বেগম গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা মাদক ব্যাবসায়ী ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী আব্দুর রশিদ শেখের স্ত্রী।
মুনিয়া বেগম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছে, তার ছেলে রোহিত মাহমুদ (মুন্না) গত ১ জুন ২০২৫ তারিখ দুবাই যায়। দুবাইয়ে ৩ মাস থাকার পর দুবাই পুলিশ তার ছেলেকে রাস্তা হতে অবৈধ নাগরিক হিসাবে গ্রেফতার করে। উক্ত বিষয়ে আমি নাকি তাদের অবগত করি এবং তার ছেলেকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য তার নিকট হতে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে আমার ছেলের মাধ্যমে ৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা নেই।
মুনিয়া বেগম অভিযোগে আরো বলেছেন, তার ছেলে দুবাইয়ে ৫ মাস জেল হাজতে থাকার পর দেশে ফিরে তাকে সব সত্যি কথা বলেছে।
প্রকৃতপক্ষে তার উপরোক্ত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। মুনিয়ার ছেলে কবে এবং কিভাবে জেলে গেছেন এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা ছিল না।
তার ছেলে দুবাইয়ে অবৈধ নাগরিক হিসেবে গ্রেফতার হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তার ছেলে আসলে দুবাইয়ে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও আইসসহ গ্রেফতার হয়।
দুবাইয়ে তার ছেলের ২০২৬ সালের ১৩ আগষ্ট তারিখ পর্যন্ত থাকার বৈধ অনুমতি রয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত সে দুবাইয়ে রয়েছে। আদৌ সে দেশে ফেরেনি। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুবাই পুলিশ তাকে দেশে ফিরতে নিষেধ করেছে। এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রোহিত মাহমুদ মুন্নাকে গাঁজা এবং আইস সহ দুবাই পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপরও এলাকার ছেলে হিসেবে এবং তার বাবা-মায়ের অনেক অনুরোধে আমি তাকে জেল থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করি এবং সফল হই।
এর জন্য আমি তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা পয়সা নেইনি। বরং নিজের সময়, শ্রম ও নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে তাদের সহযোগিতা করি।
কিন্তু মুনিয়া ও তার স্বামী আমার ব্যয়কৃত টাকা না দেয়ার অশুভ চিন্তায় আমার ও আমার বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া একমাত্র ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছে। সেইসাথে একটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে আমার পাওনা টাকা ফেরত এবং সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে শাহীন সরদারের মা বেবী আক্তার,ছেলে রোহান মাহমুদ এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগম উপস্থিত ছিলেন।