প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে শহরের পশ্চিম বান্দুটিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতরা হলেন শিখা আক্তার (২৯) এবং তার ছেলে আলভী (৭) ও মেয়ে সায়মা আক্তার (২)। শিখা আক্তার মালয়েশিয়াপ্রবাসী শাহীন দেওয়ানের স্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, সকালে বিদ্যুৎবিল পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসার দরজায় নক করা হলেও কোনো সাড়া পাননি। পরে বাড়িমালিককে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তিনজনের মরদেহ দেখতে পায়। শিখা আক্তার বিছানায়, আর দুই সন্তান মেঝেতে পড়ে ছিলেন।
নিহত শিখার স্বামী শাহীন এক মাস আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। শিখা ও তার দুই সন্তানের মধ্যে আলভী শিখার আগের সংসারের সন্তান, আর সায়মা শিখা ও শাহীনের কন্যা। শাহীন ও শিখার মধ্যে পাঁচ বছর আগে বিবাহ হয় এবং তারা দীর্ঘদিন দাম্পত্য কলহের মধ্যে ছিলেন।
সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার শিখা শাহীনকে ফোন করেছিলেন এবং মঙ্গলবার কল করার চেষ্টা করেও তিনি উত্তর পাননি। পরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
বাসা ভাড়া নেওয়া বিষয়েও জানা যায়, গত আগস্টের ১৫ তারিখে শাহীন বাসাটি ভাড়া নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শিখা তিনদিন বাবার বাড়িতে ছিলেন এবং পরে ফিরে আসেন।
জেলা পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, পারিবারিক কলহের জেরে শিখা দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন এবং এরপর নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
লাশগুলো উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি একাধিক সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত করছে।
স্থানীয়রা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারিক কলহের প্রভাব ও মানসিক চাপের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।