আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া পূজার মধ্যে দিয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শান্তিপূর্ন ও আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের লক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রস্তুতিমূলক সভা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি তদন্ত মো. রাশেদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন শেখ, সাবেক সভাপতি মো. সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু মোল্লা, ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আজম মীর মালত সহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, প্রতিটি মন্ডপের সভাপতি/সেক্রেটারি প্রমুখ।
অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় জানানো হয়, এ বছর গোয়ালন্দ উপজেলায় ২৫টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গা পূজা। এ বছর পূজা মন্ডপগুলোর কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসময় ইউএনও বলেন, পূজা উদযাপন কমিটিকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন, শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, পূজা উদযাপনকালে প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসারদের ফোর্স নিয়োজিত থাকবে, পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পূজামন্ডপের নিকটবর্তী স্থানে আনসার সদস্য/নিরাপত্তা কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা, বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল/নৌ- পুলিশ/কোস্টগার্ডের ডুবুরি দলকে প্রস্তুত রাখতে হবে, প্রত্যেক পূজামণ্ডপে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় প্রশাসন, থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং ফায়ার সার্ভিসের টেলিফোন নম্বর/মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, প্রতিটি পূজামন্ডপে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক পৃথক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রাখতে হবে, শারদীয় দুর্গা উৎসব চলাকালে পূজামন্ডপ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পূজামণ্ডপ কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ পূজামন্ডপে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে, সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটিসমূহকে পূজামণ্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ৩জন এবং রাতে ৪জন) নিয়োজিত করতে হবে, আজান ও নামাজের সময়ে পূজামন্ডলের শব্দ যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে, নতুন পূজামন্ডপ স্থাপনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। যেকোন পূজামন্ডপের আশেপাশে কোন মাদকসেবী পেলে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে৷ থানার অফিসার ইনচার্জগণকে পূজা কমিটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। যাতে করে দর্শনার্থীরা
নির্ভিঘ্নে পূজামন্ডপ দর্শণ করতে পারে।