মুলাদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীর কারণে বীর মুক্তিযোদ্ধা(অবঃ) সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে এনায়েত হোসেন খানের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি আইনজীবী।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালেই মুলাদী এসিল্যান্ড অফিসে নির্ধারিত শুনানীর জন্য এ্যাডভোকেট সুমন দত্ত হাজিরা দিতে গেলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রোকন মোল্লা ও কালাম খানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আইনজীবীকে বাধা দেন। ঘটনাস্থলে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনকে লাঞ্চিত করার পাশাপাশি অবরুদ্ধ করা হয়। পরে মুলাদী থানা পুলিশ ও এসিল্যান্ডের সহায়তায় মুক্তি পান।
আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেশী কালাম খানের সহায়তায় তার ছেলে এনায়েত হোসেন খানের বসতবাড়ি নিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আইনজীবীকে দমিয়ে রাখা এবং আমার উপর চড়াও হওয়া স্পষ্টভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।”
বাদীর আইনজীবী সুমন দত্ত জানান, “স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আমাকে অফিসে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। তাই শুনানিতে অংশ নিতে পারিনি।” তবে সহকারী কমিশনার (ভুমি) পরাগ সাহা এবং মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিক রহমান ঘটনাস্থলে কোনো বড় ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের প্রতিনিধি রোকন মোল্লা ও কালাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে আইনগত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি না হয়।