প্রকাশ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৭
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় কুন্দুড়িয়া এলাকায় রাস্তার পাশে একটি বাগান থেকে ব্যবসায়ী বিজন কুমার দে (৬০) এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি পাইথলী গ্রামের বাসিন্দা ও ভজন দে’র ছেলে। স্থানীয়দের খবরে বুধবার সকালে লাল গেঞ্জি ও নীল প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিজন কুমার দে এলাকায় সুপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পাইথলী সর্বজনীন দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং বুধহাটা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি মাছের পোনার ব্যবসা করতেন এবং সমাজে তার পরিচিতি ছিল।
বুধহাটা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম জানান, নিহতের মৃত্যু রহস্যজনক। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বড় ছেলে প্রণব দে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাবা বাজারে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে স্থানীয়দের খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ভাই রঘুনাথ দে, যিনি স্কুলশিক্ষক, বলেন, প্রতিদিন রাতে তার পুত্রবধূ বাবার জন্য খাবার নিয়ে আসতেন। তবে মঙ্গলবার রাতের খাবার ঘরে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা ঘটনাকে আরও রহস্যময় করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন বলেন, বিজন কুমার দে ছিলেন সমাজে অত্যন্ত সক্রিয় ও সুপরিচিত ব্যক্তি। তার মৃত্যু গভীরভাবে বেদনাদায়ক এবং রহস্যজনক। তিনি পুলিশের প্রতি দ্রুত ও কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানান।
আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারও সংশ্লিষ্টতা থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনায় শোক ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত বিজন কুমার দে এলাকার অনেক মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন মরদেহের ময়নাতদন্ত ও তদন্তে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। এলাকাবাসী আশা করছেন, দ্রুত তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবে এবং এলাকার মানুষ নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরে পাবে।