প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৪
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঝিনাইদহে সোমবার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরজুড়ে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন গ্রামের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিয়ে উজির আলী স্কুল মাঠে সমবেত হন। দুপুরে র্যালি উজির আলী স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের পায়রা চত্বর হয়ে চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডের স্বাধীনতা চত্বরে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড, ব্যানার ও জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে সড়ক মাতিয়ে তোলে। এছাড়া বাদ্যযন্ত্রের তালে র্যালি আরও প্রানবন্ত হয়ে ওঠে। হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতি র্যালিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ র্যালির নেতৃত্ব দেন। র্যালি শেষে স্বাধীনতা চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও পিপি অ্যাডভোকেট এস এম মশিয়ূর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সহসভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, জেলা যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব রনক ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু। এছাড়া মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজি, সাধারণ সম্পাদক তহুরা খাতুন, ছাত্রদলের সভাপতি এসএম সমিনুজ্জামান সমিন ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিকও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র অবৈধ ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানান। তিনি আরও বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করলেও জনগণ এবং দল একত্রে থাকলে সে চেষ্টা ব্যর্থ হবে।
বক্তারা দেশজুড়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা আরও বলেন, যারা দলের মূল লক্ষ্য ও নীতি থেকে সরে গিয়েছেন, তাদের জন্য এখনও সময় আছে একত্রে বিএনপির ঐক্য গড়ে তোলার।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা দেশ ও দলের জন্য তাদের সংকল্প ব্যক্ত করেন এবং ভোটাধিকার ব্যবহারে সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। র্যালি ও সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং জনমত শক্তিশালী করার বার্তা প্রদান করে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীরা দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। তাদের উপস্থিতি র্যালিকে প্রাণবন্ত এবং রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরে।
র্যালি ও সমাবেশ শেষে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এমন জমকালো অনুষ্ঠান এলাকায় মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং দলের প্রতি আস্থা ও উত্সাহ জাগিয়েছে।