প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩০
আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী ব্রিজ থেকে বড়দল পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক বেহাল দশার কারণে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রতিদিনই বিরাজ করছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভরা অংশ রয়েছে, যেখানে ফকরাবাদ গার্লস স্কুলের সামনের অংশ, জামালনগর ফুলতলা, ফকরাবাদ পাওয়ার হাউস ও বুড়িয়া হাসপাতালের সামনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, নসিমন ও মালবাহী ট্রাকসহ হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ছেন। মানিকখালী ব্রিজ থেকে বড়দল পর্যন্ত রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে।
ফকরাবাদ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন বৈরাগী বলেন, বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং ১৩২ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে, ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিতা ম-ল জানান, বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৭০ জন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে, ফলে তাদের নিরাপত্তা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে।
বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আকতার ফারুক বিল্লাহ সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলেন, জনগণের ভোগান্তি ও দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। বাসচালক আকরাম হোসেনও জানান, প্রায় শতাধিক স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে এবং বাস চলাচল প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা রাতের অন্ধকারে গাড়ি ছাড়াতে হঠাৎ ধাক্কা দিতে হয় এবং প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
বড়দল কলেজিয়েট স্কুলের প্রভাষক মানিক ম-ল বলেন, কলেজে যাতায়াতের সময় কাদা পানিতে ভিজে ক্লাসে পৌঁছতে হয়। সড়কের বেহাল দশা শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ জানান, কিছুদিন আগে সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল, কিন্তু আবারও খারাপ হয়ে গেছে। দ্রুত প্যাচওয়ার্ক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত সড়ক সংস্কার হলে তাদের দৈনন্দিন যাতায়াত সহজ হবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে আসবে। এই সড়ক এলাকার মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা হওয়ায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনিবার্য।