প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বার্তা সংস্থা ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু আর নেই। তিনি সোমবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী ও চার ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট তিনি ব্রেন স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে ঢাকার আল-মানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং মস্তিষ্কে জটিল অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তিনি কোমায় চলে যান এবং চিকিৎসাধীন থাকার আট দিন পর ইন্তেকাল করেন।
আমিনুর রহমান টুকুর মৃত্যুর খবর ঝিনাইদহে পৌঁছালে জেলার সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে সাংবাদিক, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু মহল দ্রুত তার বাড়িতে ছুটে আসেন।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সাবেক সভাপতি এম রায়হান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ারদার বাবলু, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রকাশক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আজাদ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তারা উল্লেখ করেন, আমিনুর রহমান টুকু ছিলেন জেলার সাংবাদিকদের অভিভাবক এবং সমাজ সচেতন ব্যক্তি। তার চলে যাওয়ায় ঝিনাইদহ একজন সুনাগরিককে হারালো।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, জেলা জামায়াতের আমীর আবু বকর মোঃ শাহজাহান, সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আবু হুরায়রা, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা তারেক রহমান, ঝিনাইদহ ফোরামের সভাপতি মহাব্বত হোসেন টিপু এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতারা শোক বিবৃতিতে তাকে শ্রদ্ধা জানান।
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে তার অবদান দীর্ঘকাল স্মরণীয় থাকবে। তিনি এলাকার সাংবাদিক সমাজে দিকনির্দেশক ও প্রেরণাদায়ক ছিলেন।
শোকপ্রকাশকারী নেতারা সবাই একমত, তার মৃত্যু শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, পুরো জেলার জন্যও একটি বড় ক্ষতি। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তার দেখানো সততা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্ব আগামী প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে থাকবে।
আমিনুর রহমান টুকুর চলে যাওয়ায় ঝিনাইদহবাসী একজন সমাজ সচেতন ও সৎ নাগরিককে হারালো, যিনি তার জীবদ্দশায় সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার রক্ষায় অনন্য অবদান রেখেছেন।