প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৪
নোয়াখালীর হাতিয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ মো. মাহমুদুর রহমানের অফিসে ঢুকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলা যুবদল অভিযুক্ত হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মোমিন উল্যা রাসেলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন সোমবার এ নোটিশ দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অভিযোগ অনুসারে, রোববার দুপুরে হাসপাতালের ল্যাবে রোগী না দেওয়ায় রাসেলসহ কয়েকজন মারমুখী হয়ে ডাঃ মাহমুদুর রহমানের অফিসে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি এবং হুমকি দেন। ঘটনাস্থলেই চিকিৎসক একটি ১৬ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে তিনি তার নিরাপত্তাহীনতা প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত যুবদল নেতা ও সহ-পরিচালক রাফুল যৌথ মালিকানায় হাতিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক পরিচালনা করে। রোগী না দেওয়ায় রাফুল ফোনে চিকিৎসককে হত্যার হুমকি দেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় যুবদল নেতা রাসেলও অফিসে প্রবেশ করে।
অভিযোগের জবাবে রাসেল বলেন, তিনি নিজেই অপমানিত হয়েছেন এবং ডাক্তারসহ অন্যদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। অন্যদিকে, পপুলার ডায়াগনস্টিকের পার্টনার নাজমুল হোসেন রাফুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চিকিৎসক রোগীদের বিভিন্ন ল্যাব টেস্টে বাধ্য করেন এবং আল্ট্রা টেস্ট তার স্ত্রীর মাধ্যমে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, ভিডিও দেখে বোঝা যায় দুইপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। ডাঃ মাহমুদুর রহমান সরকারি চেম্বারে বসে রোগী রেফার করেছিলেন মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিডিওটি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। অভিযুক্তকে দুদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় চিকিৎসক যে মানববন্ধন শুরু করেছেন, সে বিষয়ে ইউএনও মো. আলাউদ্দিন জানান, ডাক্তার একা মানববন্ধন করছেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং সরকারি নোটিশের মধ্যে দিয়ে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।