হিলি স্থলবন্দরের ফোরলেন সড়ক নির্মাণে চার বছরের স্থবিরতা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ

স্থানীয়রা জানান, কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। বর্ষায় কাদা আর শুকনো মৌসুমে ধুলায় চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে। অসম্পূর্ণ ঢালাই ও উঁচু-নিচু অংশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। ট্রাকচালক মো. মাসুদ বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই গাড়ি আটকে যায়। শুকনো মৌসুমে ধুলায় সামনে কিছুই দেখা যায় না। এই সড়কে ট্রাক চালানো এখন যুদ্ধের মতো।”

জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড়। জমির মালিক মো. এনামুল হোসেন বলেন, “সরকার দ্রুত টাকা দিলে আমরা বিনা আপত্তিতে জমি ছাড়ব।”

হাকিমপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার মো. দুলাল হোসেন বলেন, “রাস্তা না হওয়ায় শুধু মানুষ নয়, ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ পথে চলাচল করে। হিলিবাসীর দাবি—ফোরলেন সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করা হোক।”

হিলি বন্দরের ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা জানান, সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় বন্দরে যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কাঁচামাল ও পণ্য আনা-নেয়ার সময় লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়।

দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে প্রকল্পের টাকা অন্য সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ২-৩ মাসের মধ্যে নতুন প্রকল্পের আওতায় হিলি ফোরলেনের কাজ শুরু হবে।”

সড়কটির দ্রুত সমাধান না হলে দেশের অন্যতম ব্যস্ত স্থলবন্দরটি আরও বড় ধরনের অচলাবস্থার মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।