প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৪
ঝিনাইদহে টিসিবি’র ডিলার নিয়োগে নীতিমালা ভঙ্গ এবং অর্থের বিনিময়ে ডিলারশিপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যোগসাজশে এবং প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অনিয়ম চলছে। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও টিসিবির কার্যক্রমে অনিয়ম বন্ধ হয়নি।
তদন্তে দেখা গেছে, প্রকৃত মুদি ব্যবসায়ী না হয়েও অন্যের দোকানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ছবি জমা দিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছেন অনেকেই। কোথাও কোথাও তদন্ত কর্মকর্তাদের অর্থ দিয়ে প্রভাবিত করে অনিয়ম এড়িয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই পরিবারের পিতা ও ছেলে উভয়েই ডিলারশিপ পেয়েছেন। এমনকি এমপিওভুক্ত শিক্ষক হয়েও টিসিবি ডিলার হয়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নামেও ডিলারশিপ বহাল রয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের ঝিনাইদহ পৌর শাখার সভাপতি খাইরুল এবং সাবেক এমপির পিএস রিয়াদ হোসেনের নামেও ডিলারশিপ রয়েছে। তবে রিয়াদের নিজস্ব দোকান না থাকলেও তার বাসা থেকে টিসিবি পণ্য বিতরণ হয়।
তালিকায় দেখা যায়, কিছু ডিলার বিপুলসংখ্যক কার্ড পেয়েছেন। যেমন শাহাবুদ্দিন ট্রেডার্স একাই ২১১৯টি কার্ড পেয়েছে, আহমদ আলী ২২৪৬টি কার্ড পেয়েছেন। অন্যদিকে সততা ট্রেডার্স ও রাসেল ট্রেডার্স পেয়েছে মাত্র ৫৮০টি করে কার্ড।
টিসিবি ক্যাম্প অফিসের উপ-পরিচালক মো. আকরাম হোসেন জানান, অনিয়ম প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন ও পুরনো ডিলারদের নিয়ে তদন্ত চলছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, কিছু ডিলারকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত শেষে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।