প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩৩
রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দাবি-আপত্তি আবেদনের শুনানিতে অশান্তি দেখা দেয়। শুনানির শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
শুনানি শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ এবং ৩ আসনের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ ও বিএনপির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানার মধ্যে সরাসরি হট্টগোল বাঁধে। দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা একপর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত শুরু করেন।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। শুনানি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয় এবং উত্তেজনা প্রশমনের পর পুনরায় শুরু করা হয়। কমিশনাররা পক্ষগুলিকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন এবং প্রস্তাবিত সীমানা সংক্রান্ত বক্তব্য শুনতে থাকেন।
এই অশান্তি প্রমাণ করে যে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরোধ এখনও সমাধান হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এ ধরনের সংঘর্ষ আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে এবং দায়িত্বশীল পক্ষগুলিকে শান্ত থাকার জন্য বারবার সতর্ক করছে। শোনানি চলাকালীন কমিশনাররা দুই পক্ষকে পর্যায়ক্রমে তাদের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিচ্ছেন যাতে প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের সীমানা নিয়ে চলমান এই বিতর্কটি স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সীমানা নির্ধারণের সময় পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার অভাব এই ধরনের হট্টগোলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শুনানির শেষ দিকে কমিশন দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনার ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সময় নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কমিশন আশা করছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের হট্টগোল এড়িয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।