প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪৮
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের বড় মসজিদ মোড়ে উলিপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়। উলিপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সেনগুপ্ত লক্ষনের সঞ্চালনায় এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি মাওলানা মমতাজুল হাসান করিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এলাকার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন এক ভয়াবহ মাত্রা লাভ করেছে যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
উলিপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হান্নান ও দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি মোন্নাফ আলী মানববন্ধনে বলেন, সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকাণ্ড শুধু এক ব্যক্তির উপর হামলা নয়, এটি সারা সাংবাদিক সমাজের ওপর আঘাত। এই নৃশংসতা দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তারা সরকারের কাছে দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও প্রাণনাশের চেষ্টা বেড়ে যাওয়ায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হলে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়বে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই অবস্থায় সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেয়া জরুরি। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, দেশের নতুন সরকার এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এছাড়া উলিপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান শাহীন, এশিয়ান টেলিভিশনের উলিপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান শাহিন ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। তারা সাংবাদিক সমাজের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জানান এবং এই ধরনের নৃশংস ঘটনা আর কখনো যেন না ঘটে সেজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উলিপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন চাঁদ ও স্থানীয় প্রভাষক সাখওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে সবাই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ এবং তুহিন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ গ্রহণ করে। তারা দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে এবং দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে সরকারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।