প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৪১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের প্রবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা সম্প্রতি চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে একজোট হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসী এখন নিজেরাই লাঠি হাতে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস ধরে এই গ্রামে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছিল। এতে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। ৯ আগস্ট রাতে গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা লিপি বেগমের বাড়িতে চুরি করার সময় এলাকাবাসী চারজনকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ওয়াজেদ শেখের ছেলে জাকির শেখ, আলতা মাতুব্বরের ছেলে ইস্রাফিল মাতুব্বর, শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার এবং দীঘির পাড় গ্রামের মো. কালু।
ঘটনার পর ১১ আগস্ট বিকেলে পশ্চিম মাঠ আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রামের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং আটককৃতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানো হবে।
স্থানীয় যুবক সজিব মাতুব্বর বলেন, গ্রামের কিছু চোর প্রতিনিয়ত চুরি করছে। আমরা পাহারা বসিয়ে কয়েকজনকে ধরেছি, কিন্তু এখনও কিছু চোর আছে। তাই আমরা সবাই মিলে লাঠি হাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। আশা করি পুলিশও সক্রিয় থাকবে।
গ্রামের নারী মানসুরা আক্তার জানান, চুরির ভয়ে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। নারীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পাহারা শুরুর পর কিছুটা স্বস্তি মিলছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায়ও রাতের টহল বাড়ানো হয়েছে। কয়েকজন চোরকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।