প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৬
দিনাজপুরের বিরামপুরে দীর্ঘ ১৭ বছর পলাতক থাকার পর শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন মাদক মামলার দুই আসামি বগা মিয়া ও হারুন অর রশিদ। তারা ২০০৭ সালে আলাদা দুটি মাদক মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেও শাস্তি ভোগ না করে আত্মগোপনে চলে যান। অবশেষে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বিরামপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে বগা মিয়া দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের জাবেদ আলীর ছেলে এবং হারুন অর রশিদ একই এলাকার অকিল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভিন্ন পরিচয়ে রাজধানীতে বসবাস করে আসছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
২০০৭ সালে দুটি পৃথক মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, হারুন অর রশিদ অভিনব পদ্ধতিতে শরীরে মাদক বহন করে ঢাকা যাওয়ার পথে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের হাতে আটক হন। একই সময়ে বগা মিয়া দিনাজপুরে মাদকসহ ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত বগা মিয়াকে তিন বছর এবং হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে রায় ঘোষণার পরই তারা আত্মগোপনে চলে যান এবং দীর্ঘদিন ধরে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়ান।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে অভিযান চালানো হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও নজরদারির পর তাদের অবস্থান নিশ্চিত হলে আটক করা হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক জানান, ১৭ বছর পর এই দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আইনের আওতায় আনতে পেরে তারা সন্তুষ্ট। আটকের পর সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে দিনাজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে আইনের ফাঁদে ধরা পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে, মাদকবিরোধী অভিযানে এমন সাফল্যকে আরও উৎসাহব্যঞ্জক হিসেবে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। তারা বলছে, আগামীতেও পলাতক আসামিদের ধরতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।