রাজবাড়ীতে অস্ত্র হাতে চাঁদা দাবি! থমকে গেল হাসপাতাল

রবিবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় হাসপাতাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়। সভায় গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, লিফট স্থাপনের কাজে চাঁদা দাবি ও হুমকির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে। একাধিক গ্রুপ বারবার চাঁদা দাবি করছে, যার ফলে ঠিকাদাররা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।

প্রকৌশলী আরও জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে একাধিকবার চাঁদা পরিশোধ করলেও নতুন গ্রুপ এসে আবারও দাবি জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এর আগেও হাসপাতালের এসি তার এবং আউটডোরের মালামাল চুরি হয়ে গেছে। এসব কারণে কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাপ্ত চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ম্যানেজার একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। চিঠিতে বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি ৮–১০ জন অস্ত্রধারী প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে এবং মূল্যবান মালামাল নিয়ে যেতে চায়। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয় রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নাগরিক কমিটির সভাপতি জ্যোতি শঙ্কর ঝন্টু বলেন, হাসপাতালের মতো মানবিক স্থানে চাঁদাবাজি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৫০ কোটি টাকায় হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮তলা পর্যন্ত লিফট স্থাপনের কাজ চলছে, যা চাঁদা দাবির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে।