প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮:৫০
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় গভীর রাতে মাদকাসক্ত দুই বন্ধুর হাতে এক যুবক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত সবুজ হাওলাদারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ বাড়ির কাছে বাইট গাছের ঝোপঝাড়ে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ৯৯৯ নম্বরে এক কল পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত লাল চান (২৪) ও বেল্লাল (২০) নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সমীর সরকার শনিবার মহিপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজ গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সবুজ হাওলাদার ও দুই আসামী লাল চান ও বেল্লাল একে অপরের মামাতো ফুফাতো ভাই ও বন্ধু। গত বুধবার গভীর রাতে কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শরীফপুর গ্রামে লাল চান এর বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত একটি ভিটায় তারা ফ্রি ফায়ার খেলার পাশাপাশি গাঁজা সেবন করছিল।
অপরাধ সংঘটিত হয় দেনা পাওনা ও ছবি তোলা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির সময়। এই বিবাদের উত্তেজনায় লাল চান ও বেল্লাল মিলে সবুজকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। দুই দিন পর গতকাল শুক্রবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং নিহতের বাবা আবুল বাসার হাওলাদার মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায়, আজ ভোররাতে লাল চানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে লাল চান পুলিশের কাছে আসামী বেল্লালের অবস্থান জানানোর পর দুপুরে বেল্লালকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনেই স্থানীয় ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সহকারী পুলিশ সুপার সমীর সরকার বলেন, প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত আসামীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশ টিম কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই জানানো হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। এই হত্যাকাণ্ড স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ আরও বলেছে, মাদকাসক্তির দায় থেকে উত্তরণে সামাজিক সচেতনতা জরুরি এবং তরুণদের এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই ঘটনার পর প্রশাসন কঠোর নজরদারি বাড়িয়েছে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা আর না ঘটে।নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রশাসন তাদের দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।