প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:১৫
পটুয়াখালীর মহিপুরে মোবাইল ফোন দেখতে নিষেধ করায় এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লতাচাপলী ইউনিয়নের দিয়ারআমখোলা গ্রামের ১৮ বছর বয়সী মারজিয়া আক্তার শনিবার সকাল বাড়ির বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত মারজিয়া ওই গ্রামের পূর্ব আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা আলম প্যাদার মেয়ে এবং তার স্বামী জাহিদ প্যাদা তার চাচাতো ভাই বোন।
জাহিদ প্যাদা জানান, গত রাতে মারজিয়া তাকে ফুচকা আনতে বলেছিল, কিন্তু মাছ কাটার কাজ ও গদির ধোঁয়ার চাপের কারণে রাতে বাড়ি ফেরার পর তিনি তা আনতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মারজিয়া মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি মোবাইল ফোন দেখার সময় তাকে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য বলেন, এতে তার স্ত্রী রেগে পাশের বারান্দায় ঘুমাতে যান। পরের সকালে বাড়ির সদস্যরা মারজিয়াকে বিছানায় না পেয়ে বারান্দায় খুঁজতে যান এবং গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় পান।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান সংবাদদাতাকে জানান, দিয়ারআমখোলা গ্রাম থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সামাজিক সচেতনতার তাগিদ দিয়ে অনেকেই বলেন, পারিবারিক কলহ ও যৌবনের মানসিক চাপ মোকাবিলায় যথাযথ মনোযোগী হওয়া জরুরি। তরুণ ও তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারের পাশাপাশি সমাজ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানানো হয়।
মরদেহ উদ্ধার ও ময়না তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকার সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণ আচরণ করেছেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে পুনরায় পরিবারে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার গুরুত্ব উঠে এসেছে। সামাজিক বন্ধন মজবুত রেখে পারিবারিক কলহ থেকে উত্তরণের পথ খোঁজার জন্য সকলে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্যণীয়।