প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পিপলু বড়ুয়াসহ ছয়জন পুলিশ সদস্যকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) তাদের থানা থেকে সরিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ৩ জুলাই সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানকে মহাসড়কে আটক করে টহল পুলিশের সদস্যরা। পরে অবৈধ পণ্য পরিবহনের অভিযোগ তুলে ওই কাভার্ড ভ্যান থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ হিসাবে নেওয়া হয়। এ ঘটনার খবর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।
বর্তমানে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন উপরিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া। তিনি জানান, একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৬ জন পুলিশ সদস্যকে একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে কুমিল্লা কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টির তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশি অঙ্গনে এই ধরনের অভিযোগ গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই প্রত্যাহারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে যারা দোষী প্রমাণিত হবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য তদারকি বাড়ানো হয়েছে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার এই ঘটনার মাধ্যমে পুলিশি সেবায় সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আবারো浮ূটেছে। জনসাধারণের মধ্যে পুলিশি সেবার প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারে এই ধরণের অনিয়মের প্রতিকার জরুরি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত তথ্য দেওয়ার বিষয়েও কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।