প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪
কুমিল্লার দেবীদ্বারের একটি নির্জন জঙ্গলে চল্লিশোর্ধ বয়সী এক অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টায় দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের গৌরসার গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়ির পাশের জঙ্গলে, যা সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর পরিবারের মালিকানাধীন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, সকালে গৌরসার গ্রামের প্রতিবন্ধী ফরিদ মিয়া জঙ্গলে কচুর লতি উঠাতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে বিকেলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ এলাকায় দিনের বেলায় সাধারণ মানুষের চলাচল খুবই কম এবং রাতে মাদকসেবী ও অপরাধীরা নিয়মিত আসামি। এলাকাবাসী দাবি করেন, এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের হয়রানি করা হয়।
মরদেহের শরীরে ব্রো-এর উপরে, কপালে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশ ধারণা করছে, নারীর সাথে ধর্ষণসহ অন্যায় ঘটিয়ে প্রায় দুই দিন আগে তাকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহের মুখে পোকামাকড় বাসা বেঁধে থাকায় চেহারা ভালোভাবে দেখা যায়নি।
উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডটি খুবই স্পর্শকাতর, এবং ময়না তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ ও ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করা হবে।
এলাকার মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী, জঙ্গলে যারা বেড়ায় তারা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সন্তান। তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না। এর ফলে এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে গেছে।
দেবীদ্বারের এই ঘটনায় এলাকাবাসী শোকাহত ও উদ্বিগ্ন। তারা দ্রুত এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া পুলিশকে আরও সচেতন হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে অপরাধীদের দমন করা যায় এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
মরদেহ উদ্ধার ও ঘটনার তদন্ত চলছে, আসন্ন ময়না তদন্ত রিপোর্টে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।