প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১৭:০
ঝিনাইদহের মহেশপুরে একজন সহকারী জজের বিরুদ্ধে জমি দখল ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী কৃষক। রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নেপা ইউনিয়নের বাঘডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোজাম্মদের ছেলে ৫০ বছর বয়সী কৃষক আব্দুস সোবহান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোবহানের বড় ছেলে সাব্বির হোসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছোট ছেলে সাঈম ও ভাতিজা হাসানুল। বক্তব্যে আব্দুস সোবহান দাবি করেন, বাঘডাঙ্গা মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একটি ধানী জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। এই জমিতে ৩৫ বছর আগে স্থাপিত একটি গভীর নলকূপ রয়েছে, যেটির মাধ্যমে নিজের চার বিঘা জমিসহ আশপাশের জমিতে সেচ সরবরাহ করা হয়।
সোবহানের অভিযোগ, বর্তমানে গোপালগঞ্জে কর্মরত সহকারী জজ সালাহউদ্দিন বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে ওই জজ তার বোরিংয়ের মোটর ভেঙে ফেলেন এবং আশপাশের গাছ কেটে দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর সহকারী জজ তার বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় পবিত্র রমজান ও ঈদুল আজহার পূর্বে তাকে দুইবার গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি আবারও গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় আছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এজন্য গত ১৭ জুন আদালতে মামলার নির্ধারিত হাজিরার দিনেও তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।
আব্দুস সোবহান তার পরিবারের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে বলে উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সহকারী জজ সালাহউদ্দিনের প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হওয়া জরুরি।