প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১৭:৫৬
নওগাঁয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের পর আলোচনায় উঠে এসেছেন বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানী। গণ অধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা এখন এনসিপির সদ্য ঘোষিত ৩৫ সদস্যের তালিকায় ২৩ নম্বরে রয়েছেন। এনসিপির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে মনিরা শারমিনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে এবং যুগ্ম সমন্বয়কারীসহ আরও ৩১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গোলাম রাব্বানীর অন্তর্ভুক্তি নিয়েই মূলত সমালোচনা শুরু হয়েছে। গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকার অভিযোগে তাকে ৫ জুন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। যদিও রাব্বানীর দাবি, তিনি দল ত্যাগ করেছেন স্বেচ্ছায় এবং কোনো বহিষ্কারের নোটিশ তিনি স্বীকার করেন না।
শুক্রবার সকালে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে রাব্বানী এনসিপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, গণ অধিকার পরিষদের নেতিবাচক রাজনীতি ও অগণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে তিনি একটি নতুন প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন এবং এনসিপির তরুণ নেতৃত্ব ও নতুন রাজনৈতিক চিন্তাধারায় তিনি আগ্রহী হয়েছেন।
গোলাম রাব্বানীর অতীত নিয়েও বিতর্ক আছে। তিনি ২০২৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। তখন তাকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে। কিন্তু বর্তমানে তিনি সেই সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করছেন।
এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মনিরা শারমিন জানান, রাব্বানী গণ অধিকার পরিষদ ত্যাগ করে আসায় তাকে দলে নেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার প্রকৃত সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাব্বানী বলেন, রাজনৈতিক স্বাধীনতা তার অধিকার এবং তিনি যে দল ভালো মনে করবেন, সেই দলে যুক্ত হবেন। তবে বিএনপি বা জামায়াতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দেননি।
এই ঘটনার মাধ্যমে এনসিপির রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এবং নওগাঁর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন গোলাম রাব্বানী। তার যোগদানের মাধ্যমে এনসিপির জনপ্রিয়তা বাড়বে না কমবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগে যেকোনো বিতর্কিত সদস্যকে বাদ দেওয়ার অধিকার তারা সংরক্ষণ করে এবং সংগঠনের আদর্শের সাথে মিল না থাকলে কাউকে রাখা হবে না।