প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ১১:২০
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। সোমবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার রশিদনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সকালবেলায় এমন দুর্ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং স্থানীয়রা হতবিহ্বল অবস্থায় আহতদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী পুরবী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী একটি মালবাহী ক্যাভার্ডভ্যানের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে যায় খাদে, আর ক্যাভার্ডভ্যানটি সড়কের পাশে একটি গাছে আটকে যায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই তিনজন বাসযাত্রী মারা যান, যাদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী এবং একটি শিশু রয়েছে।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটে সকালে হলেও এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
রামু হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উভয় গাড়ির চালক পালিয়ে গেছেন, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সড়ক দুর্ঘটনার এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। তারা জানান, রশিদনগর এলাকায় সড়কটি সরু এবং বাঁকযুক্ত হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেশি। দ্রুত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ ইতোমধ্যে বাস ও ক্যাভার্ডভ্যান উদ্ধার অভিযানে নেমেছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও বিকেলের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সড়কে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঠেকাতে প্রশাসনের তৎপরতা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল। কক্সবাজারের রাস্তাঘাটে যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতেও এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।