প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:৪৯
উই ফর ইউ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ১৬ বছরে পা রাখল নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক স্মরণীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা ছিল মূল আকর্ষণ। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহীম মো. সায়েম এবং সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সহসভাপতি মো. জাকির হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, যিনি উই ফর ইউ’র কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেন, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান রাজন এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, রক্তদানের মাধ্যমে যে মানবিক আনন্দ পাওয়া যায় তা অন্য কিছুতে নেই। উই ফর ইউ একদিকে যেমন রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচাচ্ছে, তেমনি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। তারা উল্লেখ করেন, দল যার যার হলেও উই ফর ইউ সবার, কারণ এটি মানবতার সংগঠন।
সংগঠনটির সদস্যরা জানান, শুধু রক্তদানই নয়, বন্যাকালে খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবা ও মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজনসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে তারা নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। ফেনী ও নোয়াখালীর ভয়াবহ বন্যাকালে সংগঠনটির ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০১০ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উই ফর ইউ ১৯ হাজার ব্যাগ রক্তদানের মাধ্যমে মানবিকতা ছড়িয়েছে। এই দীর্ঘ পথচলায় তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উই ফর ইউ শুধু নোয়াখালীতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনীতেও সংগঠনটির সক্রিয় কার্যক্রম রয়েছে। সমাজে রক্তের চাহিদা মেটাতে এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে তারা কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখছে।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের উদ্যোগ দেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক এবং মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ হোক। তাদের ভাষায়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আনন্দ হাজার বছর ধরে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে যাবে।
এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধুমাত্র একটি উৎসব নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা ও মানবসেবার প্রতিশ্রুতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। উই ফর ইউ’র এমন কার্যক্রম সমাজে মানবিক মূল্যবোধ ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।