ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাঈদ হাসান মনিরুলের নেতৃত্বে একটি সম্মানিত পরিবার সাইবার দুর্বৃত্তদের রোষানলে পড়েছে। ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির শিকার হয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন।
গত ২৬ মে ও ২ জুন ‘অগ্রযাত্রা এক্সক্লুসিভ’ নামক ফেসবুক পেজে "ঝিনাইদহসহ চার জেলার গডফাদার মনিরুলের জমজমাট মাদক কারবার" শিরোনামে একটি ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয়। এতে পরিবারটির প্রবাসী সদস্য ও অসুস্থ মাকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত করে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল জানান, তার ভাই উজ্জল ১৮ বছর ধরে প্রবাসে থাকলেও তাকে মাদক চালানের সঙ্গে জড়িত করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া, পরিবারটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কথাও উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মনিরুলের ভাই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় কিছু কুচক্রী মহল সাইবার দুর্বৃত্ত সৈয়দ আশিকুজ্জামান জনি ও সাবিদ কাওসারকে ব্যবহার করে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মনিরুল আরও দাবি করেন, ছয় বছর আগে তার পিতা অসুস্থ থাকায় আব্দুল মালেক মন্ডলের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল। টাকা শোধ দেওয়া সত্ত্বেও মালেক মন্ডল জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার মামলা দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার। আশিকুজ্জামান জনি ও সাবিদ কাওসারকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাইবার দুর্বৃত্ত হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
পরিবারটির পক্ষ থেকে বলা হয়, জনি ইতিপূর্বে মাদক ব্যবসার অভিযোগে মাগুরা ও ফরিদপুরে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখন তিনি সম্মানিত পরিবারটির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটির পক্ষ থেকে রাজিয়া খাতুন, মমতাজ বেগম, সুমন আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সাইবার অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।