প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৭:২৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে টানা ভারী বর্ষণ। কখনও থেমে থেমে আবার কখনও মুষলধারে এই বৃষ্টিপাতে শহর এবং আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত ডুবে গেছে পানিতে। জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানির নিচে চলে গেছে। রিকশা ও অটোরিকশা চালকরা রাস্তায় বের হলেও যাত্রী সংকটে পড়েছেন এবং অধিকাংশ মানুষ প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন না।
নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিষখালী ও সুগন্ধা নদীর পানি নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রবেশ করে নিচু জমি ও কৃষি খেত প্লাবিত করছে। এতে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, এমন ভারী বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ধান, সবজি ও বাগান ফসল মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানিয়েছেন, নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে থাকলেও পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে। তিনি বলেন, পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলে তীরবর্তী এলাকাগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো সরাসরি কোন সতর্কতা সংকেত না থাকলেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানিয়েছেন, শুকনো খাবার, চিড়া, মুড়িসহ প্রাথমিক সহায়তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং দুর্ভোগ বাড়তে পারে।