প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৬:৫৯
সৌদি আরবের তাবুকে একটি লরির চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সাইফুল ইসলাম নামের এক যুবক। মাত্র দেড় বছর আগে পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রবাসে পাড়ি জমানো এই যুবকের করুণ মৃত্যু এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নামিয়ে এনেছে।
নিহত সাইফুল ইসলাম বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের জুনাহাজী ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা ও মৃত নুরু পুলিশের ছেলে। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে তার উপর নির্ভর করছিল স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা সন্তান। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল তাবুক শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে চাকরি করতেন। বুধবার দুপুরে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ একটি লরি এসে তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই খবরটি পৌঁছায় সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে। মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়েজ উল্যাহ ভূঁইয়া জানান, এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকাবাসী ব্যথিত ও শোকাহত। সাইফুল ছিলেন ভদ্র, শান্ত স্বভাবের এবং পরিশ্রমী একজন মানুষ।
নিহতের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তার আত্মীয় মো. সালাহ উদ্দিন। তিনি জানান, মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে সহায়তা চাওয়া হয়েছে যেন দ্রুত লাশ ফিরিয়ে আনা যায়।
সাইফুলের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এখন চরম শোকের মধ্যে দিন পার করছেন। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ভবিষ্যতের চিন্তায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কন্যা সন্তানের চোখে এখন শুধু প্রশ্ন– বাবা কি আর ফিরবেন না?
স্থানীয়রা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন দ্রুত প্রক্রিয়ায় সাইফুলের মরদেহ দেশে আনা হয় এবং তার পরিবার যেন প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে যথাযথ সহায়তা পায়। সাইফুলের অকাল মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা সমাজের জন্য এক বেদনার গল্প হয়ে রইল।