প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১২:৭
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এক গ্রামে চাঞ্চল্যকর একটি অভিযোগ উঠে এসেছে যেখানে যৌতুকের মামলা তুলে না নেওয়ায় এক পুলিশ কনস্টেবল তার সাবেক স্ত্রীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে নয়, গোটা এলাকাকে হতবাক করে তুলেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসান মাসুদ, যিনি লক্ষীপুর পুলিশ লাইনে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি তার স্ত্রীকে বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে মানসিক ও আর্থিক নির্যাতন করে আসছিলেন। নিজের পদোন্নতি ও পুলিশের অভ্যন্তরীণ সুযোগ-সুবিধার কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা আদায় করেছেন।
স্ত্রীর দাবি, ভিডিও কলের মাধ্যমে তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আসতে বাধ্য করে সেসব ছবি ও ভিডিও গোপনে সংরক্ষণ করেন মাসুদ। পরে যৌতুকের মামলা হলে স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা।
যখন চাপেও কাজ হয়নি, তখনই কনস্টেবল মাসুদ ও তার ভাই-বোন একাধিক ফেক ফেসবুক ও টিকটক আইডি থেকে ওইসব গোপন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। লজ্জা, অপমান আর নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী নারী বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চাইলেও প্রতিকার না পেয়ে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেয় নোয়াখালী সিআইডিকে, কিন্তু পরবর্তীতে সিআইডির প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধেই রিপোর্ট দেওয়া হয়।
এদিকে পুলিশ সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে উল্টো ওই নারী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও, লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় সামাজিক নিরাপত্তা ও নারীর সম্মানহানির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।