ভালোবাসা থেকে বিয়ে, শেষ পরিণতি করুণ মৃত্যু ॥ স্বামী আটক

নিহতের বাবা হাকিমুল হক জানান, প্রেমের সম্পর্কের পর দুই বছর আগে সাথীকে বিয়ে করে আব্দুস সালাম রতন। বিয়ের কিছুদিন পরই জানতে পারেন, জামাই নিয়মিত মাদক সেবন করে এবং মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। কয়েক মাস আগেও গলায় চেপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তখন মেয়েকে নানার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সালামের পরিবার ক্ষমা চেয়ে সাথীকে আবার ফিরিয়ে নেয়।

সোমবার দুপুরে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহতের বাবা। তিনি বলেন, “দেখি মেয়েটা মারা গেছে, আর গলায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। আমার ধারণা, গলা চেপে মেরে পরে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।”

সাথীর নানি নুরজাহান বলেন, “মাদক সেবন করে প্রায়ই মেয়েটাকে গলা চেপে ধরত। সাথী এসব কথা আমাকে বলেছিল। কেউ ভাবেনি যে ওকে মেরে ফেলবে।” স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের পর যৌতুক নিয়ে বিরোধ চলছিল শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। সাথীর পরিবার যৌতুক দেয়নি বলে পরিবারটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি ছিল।

সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে সাথীকে একটি ইজিবাইকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান রতন ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাকে বলতে শোনা যায়, “সাথী গলায় ফাঁস দিয়েছে।” তবে পরিবারের দাবি, এটি সাজানো নাটক।

বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক রতন কুমার জানান, “সাথীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।

নিহত গৃহবধূর পরিবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।