কালকিনিতে টাকার বিনিময়ে মডেল টেস্ট ! শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্ষোভ

এ বিষয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের চাপ দিয়ে অর্থ আদায় করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, "আমাদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নেয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং টাকাগুলো ফেরত চাই।"

জানাগেছে, সৈয়দ আবুল হোসেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস আলী স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে মডেল টেস্ট পরীক্ষার জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২৮ এপ্রিল উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। পরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করে কোচিং, প্রাইভেট বাণিজ্য ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টাকা উত্তোলন করেছে, তাদের তালিকা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, "শিক্ষা অফিসার পরিপত্র দিয়েছেন। তবে টাকার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।