টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। আড়াই বিঘা জমির আধা পাকা বোরো ধান বিষ প্রয়োগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের কড়িয়াটা গ্রামের প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীনের জমিতে এই ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই জমি বর্গা নিয়ে পড়শি ফরিদ শেখ বোরো ধানের চাষ করছিলেন। গত শনিবার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় একদল লোক জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে। এর ফলে জমির সব ধান গাছ শুকিয়ে মারা যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গোপালপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এমএ হালিম। তিনি জানান, পরিদর্শনকালে এরাক্সন প্যারাকোয়েট-২০০ এসএল নামক বিষ প্রয়োগের আলামত পাওয়া গেছে। এই বিষ ধান গাছ মারার পাশাপাশি জমির উর্বরতাও নষ্ট করে দেয়।
জমির মালিক হাবিব উদ্দীন ও বর্গাদার ফরিদ শেখ স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ফরিদ শেখ বলেন, "এবার ভালো ফলনের আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন সব শেষ। আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে গেছে।"
গোপালপুর থানার তদন্তকারী অফিসার এসআই চন্দন পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, গত মাসেও একই এলাকার কড়িয়াটা পশ্চিম পাড়া গ্রামে তিন বিঘা জমির বোরো ধান বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এবার আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই ধরনের বিষ প্রয়োগ শুধু ফসলই নষ্ট করে না, জমির উর্বরতা শক্তিও কমিয়ে দেয়। এতে ভবিষ্যতে সেই জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের সচেতন করতে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নজরদারি বাড়ানো হবে।