বরিশালে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে উপজেলার সালতা গ্রামের মজিবর খানের ছেলে আসিফ খানের বাড়িতে প্রবেশ করেন সাগর মোল্লা। বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাতেই গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার সাগরের মৃত্যু হয়।

এদিকে নিহত সাগরের পরিবার দাবি করেছে, এটি নিছক চুরির ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সাগরের বাবা সিরাজ মোল্লা বলেন, আমরা কর্মসূত্রে মাদারীপুরে থাকি। সাগর আমাদের গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল। তখনই সালতা গ্রামের আসিফ খান, মজিবর খান, আলামিন মোল্লাসহ ২০-২৫ জন পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে, যার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে সালতা গ্রামের আসিফ খানের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগটি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, রাত ১টার দিকে আমাদের বাড়িতে চোর ঢুকেছিল। আমরা চিৎকার দিলে গ্রামবাসী ছুটে আসে এবং এক যুবককে ধরে ফেলে। তখনই তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। এখানে কোনো পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা নেই।