প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৩৭

নওগাঁ জেলার ধামইরহাটে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা পরিহার এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল সমাজে শান্তি ও সহানুভূতির বেগবৃদ্ধি ঘটানো, যাতে সকল শ্রেণীর মানুষ একসাথে গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিতে পারে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্টের পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজির) আয়োজনে ১৬ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ধামইরহাট-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এই উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা, যারা একত্রিত হয়ে শান্তি এবং সমাজে ঐক্যের বার্তা প্রচার করেছেন।
এই কর্মসূচির মধ্যে প্রথমে মানববন্ধনের অনুষ্ঠান পালিত হয়, যার মাধ্যমে সবাই নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সমঝোতার সমর্থন প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজনস্থলে উপস্থিত সকলের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারের আহ্বান স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল সকলের মধ্যে মিলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।
মানববন্ধনের অনুষ্ঠান শেষে ধামইরহাট প্রেস ক্লাব ভবনের চতুর্থ তলায় সোনালী কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ এবং উপজেলা কো-অর্ডিনেটর আবু হেনা মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করা হয়। এতে পিএফজির নওগাঁ জেলা কো-অর্ডিনেটর সুকমল মন্ডলও উপস্থিত ছিলেন এবং সকলকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য আজমল হোসেন চৌধুরী শাহান, নওগাঁ জেলা মহিলাদলের সহ-সভাপতি মাজেদা বেগম, বেলী খাতুন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোছাঃ সেলিনা আকতার, মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মোছাঃ আনজুয়ারা বেগম, যুবলীগ নেতা আব্দুল হাই দুলাল এবং জাতীয় পার্টির সভাপতি দেওয়ান আব্দুল হান্নান। এছাড়াও, স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সংগঠকরা আলোচনা করে দেশের উন্নয়নে শান্তিপূর্ণ ও সমন্বিত ভূমিকার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেন।
প্রাসঙ্গিক নেতারা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বাস প্রকাশ করেন, এই মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা বর্তমান রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সহিংসতা কমানোর পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তারা মনে করেন, সমাজের সব অংশে শান্তি ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠায় একতা অবশ্যম্ভাবী।
শেষপর্যন্ত, এই মানববন্ধন কর্মসূচি সমাজে নতুন সজাগতা সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এক প্রেরণাদায়ক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।