কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করায় হুমকির মুখে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ধর্ষিত কিশোরী উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছগুড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন হতদরিদ্র চা বিক্রেতা।
ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়, প্রায় আট মাস আগে গ্রামের নুরুল ইসলামের জামাতা আবু কাউছার (৪৫) রাতে কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনা গোপন রাখতে বাধ্য করে।
কিশোরীর মা জানান, রমজান মাসে তিনি তার মেয়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সন্দেহ করেন। পরীক্ষা করে জানা যায়, কিশোরী সাত মাসের গর্ভবতী। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে জানা যায়, গর্ভের শিশুটি মারা গেছে।
গত ২২ মার্চ মৃত শিশুটিকে নিয়ে দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তবে ধর্ষক এখনো পলাতক।
কিশোরীর বাবা জানান, তিনি প্যারালাইজড। চা দোকান দিয়ে সংসার চালান। মামলার পর ধর্ষক তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন দিয়ে তাদের গ্রাম ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে।
দেবীদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মো. ইলিয়াছ বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, ক্ষমতাবানদের প্রভাবে বিচার পেতে বিলম্ব হতে পারে।