মৌলভীবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে কারাদণ্ড

কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিএম সাদিক আল শাফিনের নেতৃত্বে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কেওয়ালীঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু পরিবহনকারী দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে একজন হচ্ছেন উপজেলার শ্রীপুর (কোনাগাঁও) গ্রামের আমিন মিয়া। তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপরজন হলেন গোলেরহাওর গ্রামের কয়ছর আলী, যাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় অভিযানে সেনাবাহিনী ও কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম সহায়তা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেওয়ালীঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কিছু অসাধু ব্যক্তি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিলেন। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছিল এবং স্থানীয় জনজীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল।

কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিএম সাদিক আল শাফিন বলেন, "আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজনকে কারাদণ্ড এবং অপরজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ আদায় না হলে তাকে জেলেও পাঠানো হবে। আমরা পরিবেশ রক্ষায় এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবো।"

অন্যদিকে, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। সেখানে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের দায়ে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের আলীশারকুল গ্রামের মো. তাজু মিয়াকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ আদায় করা হয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান চলবে।

এদিকে স্থানীয়রা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।