বুধহাটায় বাস-ভ্যান সংঘর্ষে চালকের মৃত্যু

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে মিনি বাস ও ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যান চালক আব্দুল কুদ্দুছ নিহত হয়েছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কুদ্দুছ আশাশুনির নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলী সরদারের ছেলে।

জানা গেছে, কুদ্দুছ তার ইঞ্জিন ভ্যানে বিচালি নিয়ে আশাশুনির দিকে যাচ্ছিলেন। মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটের আগে তুলসী আঢ্যর মৎস্য ঘেরের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সাতক্ষীরা-জ-০৫-০০০৪ নম্বরের যাত্রীবাহী মিনি বাসটি দ্রুতগতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কুদ্দুছ গুরুতর আহত হন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আশাশুনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে বুধহাটায় নিয়ে যায়। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই বাস চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত কুদ্দুছ পেশায় একজন ইঞ্জিন ভ্যান চালক ছিলেন এবং তার আয়ের ওপরই পরিবার নির্ভরশীল ছিল।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি জব্দ করেছে। চালককে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, যা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহেশ্বরকাটি এলাকায় রাস্তার অবস্থা ভালো হলেও অসতর্ক গাড়িচালকরা অতিরিক্ত গতি তোলায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কুদ্দুছের পরিবার প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সড়কে নিয়মিত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।