প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৬
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঈদকে কেন্দ্র করে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজটের কোনো খবর নেই। মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চারটি সেক্টরে ভাগ হয়ে সাড়ে ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করছে।
সোমবার রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা দিয়ে ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন পার হয়, যার বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা। অন্যদিকে, সেতুর পূর্ব টোল প্লাজা দিয়ে ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন পার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায়, অর্থাৎ রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত, ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন সেতু পার হয়েছিল এবং টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ১৩৬টি এবং টোল আদায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, যানবাহনের চাপও ততই বাড়ছে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ হাজার গাড়ি বেশি পারাপার হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের আগের দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি আরও জোরদার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং টোল আদায়ে দ্রুততা আনতে প্রয়োজন হলে ১৮টি টোল বুথ সক্রিয় রাখা হবে।
মহাসড়কে যানজট এড়াতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করছে এবং যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে, ফলে সামনের দিনগুলোতে টোল আদায়ের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।