প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৩
লালমনিরহাটের সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির একটি চেষ্টা ঘটেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকায় ব্যাংকটির পেছনের দেয়ালে সুরঙ্গ খুঁড়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে এক পিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সাড়া দিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের পেছনের দেয়ালে সুরঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি। ব্যাংকের পিয়ন পেছনের দরজা দিয়ে কিছু আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং তিনি ঘটনার খবর দেন। তার চিৎকারে দ্রুত স্থানীয়রা এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, ফলে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা সুরঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও কোনো কিছু চুরি করতে পারেনি। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তারা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি যে, ডাকাতি করতে আসা দুর্বৃত্তরা ব্যাংক থেকে কোনো টাকার মালিকানা নিয়ে গেছে কি না।
লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরনবী জানিয়েছেন, ঘটনার পর তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরঙ্গের অবস্থান চিহ্নিত করেছে এবং সেখান থেকে কোনো প্রমাণ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বড়বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা লিমন বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মূল্যবান কিছু হারানোর খবর পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার পর ব্যাংক শাখাটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা বলেন, এত বড় একটি ব্যাংক শাখায় এমন একটি নিরাপত্তাহীনতায় ডাকাতি চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবেন।
এই ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দারা এখন আতঙ্কিত। তারা বলেন, ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং তারা আশা করেন যে, কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের তদন্ত শেষ হলে তারা বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করবে এবং যেসব অপরাধী এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য শাখা এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন করে নজর দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও এ ধরনের ঘটনা রোধে তাদের পদক্ষেপ আরও দৃঢ় করতে পরিকল্পনা করেছে।