ফ্যাসিস্ট সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বেগম সেলিমা রহমান

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন বেগম সেলিমা রহমান বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে সাংগঠনিক সফর শেষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে এসেছেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি কুয়াকাটার এই প্রথম সফরে আসেন।

কুয়াকাটা সফরে এসে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বেগম সেলিমা রহমান স্থানীয় অবকাঠামোর দুর্দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “কুয়াকাটার প্রবেশমুখে ১১ কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। আসতে খুব কষ্ট হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের মতো এত সুন্দর একটি স্থান রয়েছে আমাদের। কিন্তু এখানে অব্যবস্থাপনা দেখে আমি হতাশ হয়েছি। সবকিছু অগোছালো। মনে হচ্ছে এখানে কোনো অভিভাবক ছিল না।”

বেগম সেলিমা রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “তারা শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন বলে দেশের জনগণের কান ঝালাপালা করে ফেলেছে। আসলে তারা কিছুই করেনি।” তিনি কুয়াকাটার অসাধারণ সৌন্দর্য ও বিরল দৃশ্যগুলো তুলে ধরে বলেন, “সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মত দৃশ্য একমাত্র কুয়াকাটা থেকেই দেখা যায়। কিন্তু এখানে পর্যটকদের আসতে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।”

তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পর্যটন মন্ত্রীসহ এমপি-মন্ত্রীরা পর্যটন উন্নয়নে কোনো কাজই করেনি। তারা শুধু লুটপাটে ব্যস্ত।” 

বেগম সেলিমা রহমান আশ্বাস দেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুয়াকাটাকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে কুয়াকাটা আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”

এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা লুশনেয়ারা লুনা, বিএনপি মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা আকতার শিরিন, বরিশাল জেলা যুবদল নেতা ওয়ালি উল্লা খান পারভেজ, এবং বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রিয়াজ হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। 

এ ধরনের সমাবেশে বক্তারা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেও স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কুয়াকাটার উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগের সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।