সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অর্ধশত আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উচালিয়াপাড়া ও বড্ডাপাড়া গ্রামের বাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যাতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকে। সংঘর্ষের ফলে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উচালিয়াপাড়া গ্রামের মোটরসাইকেল চালক আমান মিয়া মঙ্গলবার সকালে বড্ডাপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বড্ডাপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ব্যাটারিচালিত ভ্যানের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি। দ্রুতই এই খবর উভয় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে এবং দুপুর ১২টার দিকে উভয় গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

বড্ডাপাড়া গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সেখানকার লোকজনকে জড়ো করেন। সংঘর্ষে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে, ফলে সংঘর্ষের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। এতে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩৬ জনকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকিদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র‍্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং যান চলাচল শুরু হয়েছে।”

সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করেছে এবং বর্তমানে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।