প্রকাশ: ২১ মে ২০২৪, ২:১৪
দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সরকারি ৪০% শুল্ক পরিশোধ করে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছে বন্দরের আর এসবি এন্টারপ্রাইজ নামে এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ক্রেতা না থাকায় ৭দিন ধরে গুদামে পড়ে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা ৩০ মেঃ টন পেঁয়াজ।
বন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ আর দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে গত ৭ দিনেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। হিলি পানামা পোর্টের ভিতরে ভারতীয় ট্রাক থেকে খালাস করে নিজের গুদামে গুদামজাত করে রেখেছেন আমদানিকারক। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে।
অন্য দিকে হিলি বাজারের দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলছেন, দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজও ওই দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চান না।
মঙ্গলবার (২১ মে) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব দোকানে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তাই ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে নেই এবং ক্রেতাদের চাহিদা ও তেমন নাই।
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ বলেন, আমরা দেশি পেঁয়াজ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে কিনছি। আর খুচরা বিক্রেতার কাছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৪ টাকা কেজি যাচ্ছে। সেই পেঁয়াজও ৬৮-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবেন না। তাই আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, সম্প্রতি ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় এবং দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিলি বন্দরের বেশি কিছু আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করি। আমরা গত মঙ্গলবার (১৪ মে) ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। এরসঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক, পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। সবমিলিয়ে ৬০ টাকা কেজি পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তাই আমদানির ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ গুদামজাত করে রেখেছি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে। ক্রেতা না থাকায় ৭ দিনেও কোন পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারি নাই। জানি না কত টাকা লোকসান গুনতে আল্লাহ ভালো জানে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার অভ্যন্তরীন বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকটের কারণে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
পরে প্রায় সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের গত মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি ট্রাকে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে মেসার্স আরএসবি এন্টার প্রাইজ।