প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৭
বরগুনার পাথরঘাটায় ডিলারশিপ ব্যাবসার ১০লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পাটনারকে অপহরনের পর হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার কলমেঘা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সোনালী মাদ্রাসা বাজারের আলী আহম্মেদের ছেলে মো. মাহাবুব আলম বাচ্চু(৪৩) তার ব্যাবসায়ী পাটনার জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে তিনি (মাহাবুব) বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন। গত ২ মার্চ একই ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াড কালিবাড়ি গ্রামে আবুবক্কর হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অপহরণ কারে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখালে গতকাল রবিবার তার নিজ বাড়িতে মাহাবুব আলম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালমেঘা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন স্বপন , ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ পায় অর্ধশত গ্রামবাসি।
মাহাবুব আলম জানান, তিনি ঢাকাতে একটি বাইন হাউজে চাকুরী করেন। এবং পাথরঘাটায় ডিলারশীপ ব্যাবসায় জাহিদুল ইসলাম এর সাথে ব্যবসায়ীক পার্টনার। পাথরঘাটায় ডিলারী ব্যাবসা দেখাশোন করেন জাহিদুল ইসলাম। এসুবাদে জাহিদুলকে চেকের মাধ্যমে দশ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসায় শেয়ার হয়। গত ৩০ জানুয়ারী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন মাহাবুব। পরে ৩ মার্চ তার ব্যবসায়ীক পার্টনার জাহিদুল ইসলাম তাকে মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে পথের মধ্য গাড়ি থামালে কয়েকজন যুবক এসে জোর করে তাকে বেধে একটি খালের পাড়ে নিয়ে যায়। এসময় জাহিদুলের ভারাটে খুনিরা নিজেদের মধে হত্যা করতে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বাকবিতন্ড শুরু হলে মাহাবুব আলম কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। ওই সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ্এসে তাকে উদ্ধার করে তার বাড়ি পৌছে দেয়।
এব্যাপারে জাহিদুল জানান, আমি তার দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যাবসা করতাম। এসময় তার ভারাটিয়া ঘরের অগ্রিম বাবদ ২ লক্ষ টাকা দিয়েছি। সেই টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য এই নাটক সাজিয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।
মামলার তদন্তকারি গোয়েন্দা সংস্থা ( ডিবি) কর্মকর্তা মোঃ ইমাম হোসেন জানান, কোর্ট মামলাটি তদন্তর ভার আমার ওপর দিয়েছে। আমি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে কোর্টে রেপোর্ট দাখিল করব। কোর্ট দোষীদেরকে শাস্তি দেবেন বলে তিনি জানান।