প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪, ২২:৫২
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে বিচার কার্য চলাকালীন সময়ে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলালকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামি পচা মাসুদকে পুলিশ গ্রেফতার করায় পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা এক দিন বন্ধ রাখার পরে আজ থেকে পূর্বের নিয়মে চালু করেছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর বৃন্দ।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে এক দিন সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখে মামলার আসামি গ্রেফতার হওয়ায় তারা নাগরিক সেবা চালু করেছেন।
বিচার চলাকালীন সময়ে কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন ওই কাউন্সিলর। এক দিন নাগরিক সেবা বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভাতে সেবা নিতে আসা মহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি, আমার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কাগজে স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমি গতকাল পৌরসভাতে এসে জানতে পারলাম সকল কাউন্সিলররা কর্মবিরতিতে গেছেন। যার ফলে আমার প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করাতে না বাসায় ফিরে যায়। আজ আবার পৌরসভায় এসে কাগজে স্বাক্ষর করে নিলাম কি আর করা!
হাকিমপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বলেন, আমি হিলি বাজারে পাবনা স্টোরের পাশে নিজস্ব অফিসে বসে বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বিচার করছিলাম। এক পর্যায়ে বিচারের সমাধান হয়। কিন্তু বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন তা মেনে নেননি। পরে গালি গালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিবাদী ছাবিনা আক্তারসহ দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার রাকেশ, মাসুদ (পচা) হাতে লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী ছাবিনা ইয়াসমিন আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে সেন্ডেল দিয়ে মারপিট করেন। এ সময় অন্যরা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমনকি আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা ৩ লাখ টাকা অসৎ উদ্দেশে নিয়ে যায়।
এ ছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি হাকিমপুর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের ও পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রাখেন সকল সদস্য বৃন্দ। এর একদিন পরে মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি মাসুদ পচা কে পুলিশ গ্রেফতার করায় আজ থেকে আবারও পৌরসভার সফল নাগরিক সেবা চালু পূর্বের নিয়মে চালু হয়েছে।
হাকিমপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল চলতি মাসের ৭ মার্চ বাদী আবুল বাসার ও বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে হিলি বাজারের তার নিজস্ব অফিসে বিচারে বসেন। এক সময় তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন বিচার না মেনে কাউন্সিলরকে জুতা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করেন। পরে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই কাউন্সিলর। অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মামলার আসামি মাসুদ পচাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার কারণে আজ সকল থেকে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা পূর্বের নিয়মে চালু করেছেন।
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, হাকিমপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি মাসুদ পচাকে পুলিশ গ্রেফতার করে আজ দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।