প্রকাশ: ২ জুলাই ২০২৩, ২:১৯
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মাঝে অস্বস্তি অনেকটা অসন্তুষ্টিতে পরিণত হয়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে মরিচের দাম দফা দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভরা মৌসুমে কেন এতো দাম? এ প্রশ্ন রেখে ক্রেতাসহ প্রান্তিক চাষিরাও জীবনে এই প্রথম কাঁচা মরিচের দাম দেখে হতবাক হয়েছেন।
চাষিরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন আগের টানা খরা ও বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, পাতা কুঁকড়ে গিয়েছিল। যে পরিমাণ গাছে ফুল আসার কথা তা আসেনি। ফলে এই সময়ে যে পরিমাণ ফলন হওয়ার কথা তা হয়নি। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষক।
জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ হাটবাজার গুলোতে কাঁচা মরিচ ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও রোববার কিছুটা কমে ৪০০-৪৫০ টাকা প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনসাধারণ।
ফুলবাড়ী বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী জানান, টানা খরা ও বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে। তাই চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি নেই। শুক্রবার ৬০০ টাকা ও শনিবার ৫৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছি। অনেক কষ্টে বড়বাড়ী এলাকা থেকে ৫ কেজি মরিচ ১৮০০ টাকা দিয়ে এনেছি। তবে আশা করা যাচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে মরিচের বাজার স্বাভাবিক হবে।
বালারহাট বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমজাদ আলী ও জয়নাল আবেদীন বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি খুবই কম। তাই দাম চড়া। দুই দিন ধরে মরিচ নেই।
মরিচ চাষি ছাইদুল ইসলাম বলেন, টানা খরার কারণে ১৫ দিন আগেই ২০ শতক জমির মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু কৃষকের মরিচ থাকলেও অতিরিক্ত খরার কারণে ফলন হয় নাই। এখন বৃষ্টি হওয়ার কারণে গাছে জোয়ার আসছে। এই ফল পাওয়া গেলে তখন দাম কমতে পারে।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলায় মোট ৪০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। টানা খরা ও বৃষ্টির কারণে ফলনসহ কিছু জমি নষ্ট হয়ে যায়। এখন গাছে যে ফুল আসছে অতিবৃষ্টিতে তা আবারও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস বলেন, বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখাশুনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচসহ কাঁচা পণ্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।