প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০:৪০
বরিরশালে র্যালি, শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন বরিশালের আয়োজনে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করা হয়। যা বান্দরোড হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে শহীদ শেখ রাসেলের অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
পরে শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতিক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক 'এই স্লোগানে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান। বরিশালের জেলা প্রশাসক বরিশাল জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. এ. কে এম ইকবাল হোসেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (হেডকোয়ার্টারস) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু, বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম-বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মন্দীব ঘড়াই, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)এর সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, শিক্ষক শিক্ষার্থী বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষ জেলা পর্যায়ে আইসিটি বিভাগের এবং জেলা শিশু একাডেমির বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা।
এদিকে সকাল দশটায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুচ বলেন, জাতির জনককে হত্যার মধ্যদিয়ে ঘাতকরা বাংলাদেশকে পুরানো ভাবধারায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল। যার জন্য শিশু রাসেলকেও হত্যা করেছে। খুনিদের ভয় ছিল রাসেলের ধমনীতে জাতির পিতার রক্ত বহমান। বেঁচে থাকলে ওদের স্বপ্ন ব্যর্থ হবে। কিন্তু ঘাতকরা সফল হয়নি। ঘাতকদের বিচার হয়েছে বটে তবে খুনের নেপথ্যে নেতৃত্বদের বের করতে তদন্ত কমিটি করার দাবী করেন এই নেতা।