প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ২৩:২৫
আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলন যেন কোন ভাবেই থামছে না। কেউ জানে না এদের খুঁটির জোর কোথায়? প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকারের বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৬২ নং ধারাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন এলাকায় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গীয়ে দিনে দুপুরে মৎস্য ঘেরে,চাষকৃত মাঠে রাস্তার ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূ-গর্ভ থেকে নিদ্বিধায় বালু উত্তোলন করছেন এবং সেই বালু চড়া দামে বিক্রিও করছেন ।
বালু উত্তোলনের সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে জানান,কিন্তু প্রসাশনের অনুমতি দেখতে চাইলে গড়মিসি করেন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন কারিরা দম্ভের সাথে বলেন,আপনারা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলেও আমাদের কোন যায় আসে না।
প্রশাসন আমাদের পকেটে থাকে। ভুগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হালকা থেকে মাঝারী ধরণের ভূমিকম্পন হলেই যেন কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে এসকল এলাকার পাকা স্থাপনাসহ ঘরবাড়ী,ঘটতে পারে প্রানহানী। এছাড়া বুধহাটা ইউনিয়নের নতুন বিল্ডিং এর জায়গা ও পুকুর ভরাটের জন্য মৎস্য ঘের থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করছেন ।
এছাড়া সড়ক নির্মাণের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ড্রেজার মেশিনে ভলগেট লাগিয়ে ভূ-গর্ভ থেকে নির্দ্বিধায় বালু উত্তোলন করছেন। প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে এলাকার মানুষের জানমাল ও জায়গা জমির ক্ষতি সাধিত হলেও তাদেরকে বালু উত্তোলন করা থেকে কোন রকম থামানো যাচ্ছেনা।
আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রায় সকল এলাকায় ব্যক্তি পর্যায়ে পুকুর ভরাট, বসতবাড়ী ভরাট করে উঁচু করণ, এলজিইডি সড়ক নির্মাণ ও রাস্তার পাশের নিচু জায়গা ভরাট করতে একই ভাবে ভূ-গর্ভের বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে।
এসকল কাজে পুকুর খাল-বিল অথবা মৎস্য ঘের কিংবা সমতল ভূমি থেকে ড্রেজার মেশিনে ভলগেট লাগিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা নির্বহী অফিসার বলেন, ভূ-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করা বে-আইনি এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ। নির্ধারিত ঘোষিত বালু মহলের স্থান ছাড়া যদি কেউ খাল-বিল, নদী, পুকুর বা সমতল স্থান থেকে ড্রেজার মেশিনে ভলগেট লাগিয়ে বালু উত্তোলন করে তবে তার বা তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বালু উত্তোলনের সাথে কারোর জোগসাজোস থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।