প্রকাশ: ১১ মে ২০২২, ০:১৭
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত কয়েকদিন ধরে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রী ও যানবাহনের ব্যাপক চাপ ছিল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। তবে বুধবার ঘাটের চিত্র ভিন্ন। তেমন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস ও মটরসাইকেল সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠছে।
ফেরিঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫-৬ দিন ধরে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীর বিভিন্ন উপজেলায় কর্মস্থলে ফিরছে হাজারো মানুষ। অধিকাংশ যাত্রী কর্মস্থলে চলে যাওয়ায় আজ অনেকটাই ফাঁকা দৌলতদিয়া ঘাট। ফলে ভোগান্তি কমেছে এ পথে যাতায়াতকারীদের। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঘাটে আসা কিছু যাত্রী, রিকশাচালক সহ সাধারণের মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে বুধবার (১১মে) বেলা দুপুর ২টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট ও সড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৩কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল রয়েছে। ৫নং ফেরি ঘাটে গিয়ে আরো দেখা যায়, গতকাল দুপুর থেকে ঘূর্নিঝড় অশনি'র প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে পন্টুন ও ফেরিঘাটের এ্যাপ্যোচ সড়কে কাঁদা মাটিতে পিচ্ছিল হওয়ায় ফেরি থেকে গাড়ি লোড আনলোডে দ্বিগুন সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে করে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের সারি তৈরি হচ্ছে।
বোয়ালমারী থেকে আসা ঢাকাগামী ট্রাক চালক শিহাব বলেন, আমি দুই ঘন্টা ঘন্টা হলো ফেরির জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছি। মনে হচ্ছে আর কিছুক্ষের মধ্যে নদী পার হতে পারবো। ভেবেছিলাম আজ সারা দিন ঘাটে বসে থাকতে হবে, যেহেতু আমার গাড়িতে বাজে মাল রয়েছে। কিন্তু ঘাটে আজ তেমন কোন গাড়ির চাপ নেই। ভালো লাগছে আজকের ঘাটের পরিস্থিতি দেখে।
(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি ১টি বনলতা ফেরি (ইউটিলিটি) যান্ত্রিক ট্রুটির কারণে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন যাত্রী ও যানবাহনের চাপে ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। মোটরসাইকেলের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে আজ সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে যানবাহন ও ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।