প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০:১
ফাগুনকে বরণ আর বিশ্ব ভালবাসা দিবস উদযাপনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। তবে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় হতাশ পর্যটনমুখী ব্যবসায়িরা। আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে চাপ ছিলো না তেমন একটা। এরপরও আনন্দ উল্লাসের কমতি ছিলোনা পর্যটকদের।
ঋতুরাজ বসন্তের আগমন এবং ভালোবাসা দিবস মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। ফাগুনের প্রথম দিন পর্যটকরা বসন্তের পোশাক পরে সেলফি সহ নানা অঙ্গভঙ্গিতে ক্যামেরা বন্দি করে দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখছেন। বসন্তের হিমেল পরশে পর্যটকদের আনন্দ-উম্মাদনায় সৈকতে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে সেলফি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন শত শত পর্যটকরা। এদিকে লেম্বুর বন, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী, আদি কুয়া, আদি নৌকা,শুটকী পল্লী ফিস ফ্রাইপল্লীতে ও আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরের রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসন তৎপর থাকলেও পর্যটকরা ছিল উদাসীন।
তবে ভালোবাসা কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় হতাশ পর্যটনমুখী ব্যবসায়িরা। আবাসিক হোটেল মোটেল গুলোতে তেমন একটা ভীড় দেখা যায় নি। বেশির ভাগ কক্ষই ফাঁকা ছিল। হোটেল মোটেল সুত্রে জানান, এবার বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে আঞ্চলিক দর্শনার্থীদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে।
খুলনা থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা দম্পতি কেয়া ও রিয়াজ বলেন, ভালোবাসা দিবসে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে প্রকৃতিকে উপভোগ করেছি। পরিবারের সকলের সাথে বসন্ত বরণ এবং ভালোবাসার অনূভুতি ভাগ করে নেওয়ার মজাটাই আলাদা।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক সোহেল হাওলাদার জানান, ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটায় কাঙ্খিত পর্যটকদের আগমন ঘটেনি। তাদের হোটেলের কক্ষ এখনো খালি রয়েছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আঃ খালেক বলেন,কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করেন এজন্য মাইকিং করে সতর্ক করা সহ সৈকতে টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে দর্শনীয় স্পষ্ট গুলোতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে টুরিষ্ট্য পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।