প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ১:১৩
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। কোনো কিছুতেই যেন থামছে না সর্বনাশা সুগন্ধা নদীর ভাঙন। নদী বেষ্টিত বাবুগঞ্জ উপজেলার চারদিকে শুধু ভাঙনের শব্দ। ভাঙনে ৩টি বসতবাড়ি, মসজিদ সহ ১ শত বছরের পূরানো ঈদগাহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার সকাল ৭টার সময় হঠাৎ করে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের ইদ্রিস আলী বেপারী, মোঃ বাবুল হাওলাদার ও ওমর আলীর বসতঘর সহ পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী মাজে মসজিদ এবং শত বছরের ঈদগাহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এ ছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে মজিবুর রহমান, আঃ রব, জাহাঙ্গীর খান, ইউনুস সরদার, শামিম আকন, মোঃ হানিফ, কালাম খান, সফর আলী খন্দকার, শহিদুল ও হযরত আলী সহ আরও প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর।
ইতি মধ্যে স্থানীদের সহায়তায় আশ-পাশের বাড়ি-ঘরের মালামালসহ ঘর সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমীনুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দীন ক্ষুদ্রকাঠী এলাকা পরিদর্শন করেন।
এছাড়াও বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মোঃ গোলাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সুলতান মোল্লা সহ স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে এলাকার বাসিন্দা মোঃ মানিক মৃধা, মোঃ সেলিম হাওলাদার ও শাহ আলম হাওলাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন ও ইটভাটায় মাটি কেটে নেয়া এবং পরিকল্পিত নদী শাসন না করায় নদী ভাঙ্গন থামছে না। নদী ভাঙনের আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভাঙন রোধে এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ইদ্রিস আলীর পরিবার জানান, বাড়ি থেকে নদী কয়েকশত মিটার দুরে ছিল। কিছু টের পাওয়া আগেই হটাৎ রোববার সকাল ৭ টার দিকে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘরের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার মধ্যেই আমাদের বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরোয়ার মাহমুদ বলেন, নদী ভাঙ্গন বাবুগঞ্জের মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা মীরগঞ্জ, এয়ারপোর্টের উত্তর অংশ ও বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটর প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।