প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৩
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ আহত হয়েছেন। সোমবার বিকাল ৪ টায় এমপি নাহিম রাজ্জাকের প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে ধানকাঠি ইউনিয়নের এতিমখানা এলাকায় ডামুড্যা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক শামিম গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে ডামুড্যা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন,ডামুড্যা পৌরসভার যুবলীগের সভাপতি বাদল বেপারী, কাউন্সিল আবু তাহের,পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি লিয়াকত হোসেন, দারুল আমান ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হাওলাদার, দারুল আমান ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বিপুল আতস্কর,কনেশ্বর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, সিড্যা ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মাদবরের নাম জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ধানকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশ ছিল। সেখানে যাওয়া পথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএম সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক শামিমের সাথে ডামুড্যা পৌরসভার রিশিপাড়া এলাকায় কথা কাটাকাটি হয়। এর পরে আবার উভয় গ্রুপ ধানকাঠি সুধী সমাবেশে যাওয়ার পথে ধানকাঠি ইউনিয়নের বেতমারা এলাকায় গেলে শামিম গ্রুপ, বিএম সাত্তারের মোটরসাইকেল বহরের উপর লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা করে।
হামলায় ডামুড্যা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএম সাত্তার গ্রুপের প্রায় ২০ জন আহত হয়। ডামুড্যা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম বলেন,আমি নেতাকর্মিদের নিয়ে এমপি সাহেবের প্রগ্রামে যাওয়ার পথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাত্তার রিশিপাড়া এলাকায় আমাদের মোটরসাইকেল বহর থামায় এবং আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার। ডামুড্যা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএম সাত্তার বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক নাহিম রাজ্জাক এমপি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শনে জন্য ধানকাটি আসবে। আমরা যুবলীগ কর্মীরা তাকে রিসিভ করার জন্য ১৫০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম।
আমাদের এই বহরটি নষ্ট করার জন্য যারা যুবলীগের নতুন নেতৃত্বে আসতে চায় তারা আমাদের উপর হঠাৎ হামলা করে এবং আমাদের ২০থেকে ২৫জন আহত হয়। তারা অনেকে হাসপাতালে ভর্তি আছে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আছে। ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফ আহমেদ বলেন, যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে এমন বিষয়ে কেউ আমাদের জানায়নি। এবিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।